বিদ্যালয়টি তিস্তায় গেল

তিস্তা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা গেল না রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ঢুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

শনিবার বিকালে এ বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে তিস্তায় ভেঙে পড়েছে।  

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম মুকুল জানান, “বিদ্যালয়টি শুক্রবার হেলে পড়েছিল। শনিবার বেলা ৩টার দিকে একাংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।”

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩ জুলাই বিদ্যালয়টি ভঙনের মুখে পড়ে। নদীর স্রোত এসে ঠেকে বিদ্যালয়ের দশ হাত দূরত্বে।

ভাঙন রোধে দাবি জানানোর পরও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে এসে সেটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

সে অনুযায়ী বিদ্যালয়ের অবকাঠামো বিক্রির জন্য দুই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান ৫০ হাজার একশ টাকায় দ্বিতল ভবনটি ক্রয় করেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, ভাঙন রোধে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়টি তিস্তা নদী বেষ্টিত হওয়ায় সেটি ভেঙে ফেলার আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভেঙে ফেলার আগেই সেটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম ঢুষমারা চর। তিস্তা নদীবেষ্টিত এ গ্রামে ৪৫০ পরিবারের বাস। ১৯৪০ সালে গ্রামটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ঢুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৩৪৫ জন। ২০০৫ সালে একতলা এবং ২০১১ সালে দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। 

গত ৪ জুলাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘দশ হাত ভাংলেই বিদ্যালয়টি তলিয়ে যাবে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।