বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মোবারক উল্যার ছেলে জসিম উদ্দিন ও একই গ্রামের এবাদ উল্যার ছেলে কামাল উদ্দিন। দুজনেই পলাতক রয়েছেন।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের ও আদেশ দেন বিচারক।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এটিএম মহিব উল্লাহ জানান, ২০০১ সালে বেগমগঞ্জ উপজেলার মির্জানগর গ্রামের আবদুল মন্নানের জামাতা জাহের উদ্দিন ভূঞাকে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করেন আসামিরা। এরপর ৫০ হাজার টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ দিনের সময় নিলে আসামিরা অপহৃতকে ছেড়ে দেয়।
বেঁধে দেয়া ১০দিন পর ২০০১ সালের ১৯ নভেম্বর আসামিরা আবদুল মন্নানের বাড়িতে চাঁদার টাকা নিতে এলে তার ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র নূর হোসেন বাবলুর সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে তারা নূর হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়।
ওইদিন মধ্যরাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার আন্ধার মানিক এলাকায় তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আশংকাজন অবস্থায় ফেলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নূর হোসেনের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।