বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ডালিয়া দিয়ে বিএনপির লং মার্চ তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পৌঁছায়।
পরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি তিস্তা ব্যারেজের সামনে হেলিপ্যাড মাঠে যান।
বেলা ১২টায় কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে এই সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় রংপুর জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে বিএনপি। সেখান থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লং মার্চ তিস্তা অভিমুখে রওনা দেয়।
সমাবেশে ফখরুল বলেন, “তিস্তার পানি পাওয়া বাংলাদেশের মানুষের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত অধিকার। এই পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি ভারতের কাছে তুলে ধরতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’’
“আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, তিস্তার পানি আমাদের দিতে হবে। কোনো আধিপত্যবাদের কাছে আমরা মাথা নত করবো না। ন্যায্য পানির পাওনার দাবি থেকে আমরা কখনোই সরে আসবো না।”
এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
রংপুর মেডিকেল মোড় হয়ে পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টেংগনমারী ও জলঢাকা হয়ে ডালিয়া ব্যারেজের সামনে সমাবেশ করে এই লংমার্চ শেষ হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা থেকে বিএনপি এই লং মার্চ শুরু করে। পথে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধায় পাঁচটি পথসভা করে রাতে রংপুরে যাত্রা বিরতি দেয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের লং মার্চ সরকার কিংবা ভারতের সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আমরা ১৬ কোটি মানুষের জীবন জীবিকার দাবি নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছি।”
তিস্তার পানি সমস্যা প্রচারে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন ফখরুল।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে রাজধানী থেকে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করে বিএনপি।
একই দাবিতে গত ৯-১১ এপ্রিল গণতান্ত্রিক বাম মোর্চ এবং ১৭-১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) তিস্তা অভিমুখে লং মার্চ করে।