আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবাসন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে না- এমন আশ্বাসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে কেরানীগঞ্জের কয়েকটি মৌজার অধিবাসীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2014, 05:33 AM
Updated : 23 April 2014, 05:35 AM

বুধবার সকালে তেঘরিয়া ও কোন্ডা ইউনিয়নের বাগবাড়ী, বেয়ারা, বনগ্রাম, তেঘরিয়া, মজিদ বেয়ারা, আড়াকুল ও বাক্তা মৌজার কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তা নেমে আসে। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।  

এ সময় চেয়ারম্যান বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “সেনা বাহিনীর জন্য এখান থেকে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেনা কর্মকর্তারা নিজে এসে আমাদের এ ঘোষণা দেবেন। যদি না করেন, তাহলে আমরা কঠিন কর্মসূচি দেব।” 

এদিকে অবরোধে শতশত গাড়ি আটকে যায় মহাসড়কে।

ঘটনাস্থল থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আবদুল্লাহ জানান, গ্রামবাসীরা তাকে জানিয়েছেন ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য বেয়ারা, ইকুরিয়া ও তেঘরিয়া মৌজার ১০০ একর, রাজউকের আবাসিক প্রকল্প ঝিলমিলের জন্য ৩৮১ একর, জেলখানার জন্য ১৯৪ দশমিক ৪১ একর, কনটেইনার বন্দরের জন্য ৮৮ দশমিক ৪৮ একর, ভিটি স্টেডিয়ামের জন্য আট একর এবং হাসনাবাদ পাওয়ার হাউসের জন্য ২০ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট যেটুকু জমি আছে তাতে বসতভিটা ও কৃষিজমি রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বেয়ারা, তেঘরিয়া, মজিদ বেয়ারা, আড়াকুল মৌজার প্রায় ৩৫৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেনাবাহিনীর আবাসন প্রকল্প করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ কারণে কোনো উপায় না দেখে গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এর আগে সকালে দুইজন সেনা সদস্য গ্রামে ঢুকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলার পর স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় বলে জানান সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ইকবাল আহমেদ।

কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, “আমরা শুনেছি, ম্যাপ নিয়ে দুই সেনা সদস্য সকালে এখানে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন এলাকাবাসী ম্যাপ বহনকারী দুইজনকে আটক করে।

“জমি অধিগ্রহণ করবে না এমন প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর জনতা দুই সেনা সদস্যকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।”