সোমবার সকালে ঢাকার মহাখালীস্থ রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ডা. ওয়ালিউর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের রক্তসহ মলমুত্রের নমুনা সংগ্রহ করেন।
তারা ঘটনাস্থল কুমারখালীর কালোয়া গ্রাম পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান ওই টিমের মেডিকেল টেকনোলিজস্ট আব্দুর রউফ ও জসিম উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
রোববার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কালোয়া গ্রামে তরমুজ খেয়ে দুই শিশু ভাই-বোনের মৃত্যু হয়। ওই পরিবাবের সাত জনসহ অন্তত ২০ জন অসুস্থ হন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আজিজুন্নাহার জানান, তরমুজ খেয়ে অসুস্থদের বিশেষ পরিচর্যাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সালেক মাসুদকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন সব রোগী এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানান তিনি।
পরীক্ষক দলের প্রধান আইইডিসিআরের ডা. ওয়ালিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অসুস্থ রোগীদের রক্ত ও মলমূত্রের সংগৃহীত নমুনা ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যাবে ওই তরমুজে কী ছিল।
এদিকে, এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান জানান, কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলায় কুমারখালী থানা পুলিশ আটক তরমুজ বিক্রেতা মোজামকে সোমবার কুষ্টিয়া আদালতে সোর্পদ করেছে।
রোববার দুপুরে কুমারখালীর কালোয়া গ্রামের আসকর আলী কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে তরমুজ কিনে বাড়ি নিয়ে যান। ওই তরমুজ খাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসকর আলীর মেয়ে সেততি আলী স্মৃতি (৯) এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার ছেলে অনিকের (১১) মৃত্যু হয়।