শনিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে এ লংমার্চ নীরফামারীর তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন দোয়ানী সাধুর বাজারে এসে পৌঁছায়।
এরপর সেখানে এক সমাবেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তিন দিনের লংমার্চ শুরু করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
সমাবেশে তিস্তা ছাড়াও ভারতের সঙ্গে ৫৪টি অভিন্ন নদীসহ ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
এছাড়াও অভিন্ন নদীর পানি সমন্বিত ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তির জন্য চীন, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে যৌথ অববাহিকা কর্তৃপক্ষ গঠনেরও আহ্বান জানান তারা।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী সমাবেশে তিস্তা ঘোষণা পাঠ করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীন রহমান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহম্মেদ, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য রূহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
নতুন কর্মসূচি
নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৮মে রংপুরে আঞ্চলিক কৃষক সমাবেশ।
১০ মে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঢাকায় সকল বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, পরিবেশবাদী সংগঠন, পানি বিশেষজ্ঞ, নাগরিক ফোরামের নেতাদের নিয়ে পরবর্তী করণীয় নিয়ে পরামর্শ সভা।
আগামি জুন মাসে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির হিস্যা আদায়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সেমিনার আয়োজন।
এছাড়া একই দাবিতে সিপিবি ও বাসদের দেশজুড়ে প্রচার-প্রচারণা চালু রাখা এবং এ দুই দলের নেতৃবৃন্দের চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটান সফর।