‘স্বামীকে অক্ষত চেয়েছিলাম, সমঝোতার প্রশ্ন ওঠেনি’

অপহৃত স্বামীকে অক্ষত ফিরে পাওয়াই একমাত্র চাওয়া ছিল জানিয়ে বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এক্ষেত্রে কারো সঙ্গে তার কোনো সমঝোতার প্রশ্ন ওঠেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 01:13 PM
Updated : 18 April 2014, 04:31 PM

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের বাসায় স্বামী আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরিবেশ আন্দোলনের এই সংগঠক।

স্বামীকে ফিরে পেতে কারো সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার একটাই চাওয়া ছিল, স্বামীকে অক্ষত ফিরে পাওয়া। সরকারের সঙ্গে বিরোধের কোনো ইস্যু নেই। তাই সমঝোতার প্রশ্নই আসে না।”

স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তার কাজের কারণে যারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তদন্তে তাদের বিবেচনার বাইরে না রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক রিজওয়ানা।

সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার ভবিষ্যত কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে রিজওয়ানা বলেন, “আমার কাজের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যদি অপহরণ করে থাকেন, তারা হয়তো ভাবতে পারেন- এর মধ্য দিয়ে তারা আমাকে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখবেন।

“তবে তাদের বলছি, বেলার কার্যক্রম থেকে আমি কোনোভাবেই বিরত থাকব না।”

স্বামী নিরাপদে ফিরলেও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন জানিয়ে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানান  রিজওয়ানা হাসান।

স্বামীকে ‘দ্রুত’ সময়ের মধ্যে ফিরে পাওয়ার জন্য গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “রাষ্ট্রীয় সমর্থন ছাড়া এতো দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। সব অপহরণই ঘৃণ্য। সব অপহরণের ঘটনাকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয় না। তবে এই ঘটনাকে গুরুত্ব দেয়ায় আপনাদের সামনে হাসিমুখে বসতে পেরেছি।”

এবি সিদ্দিককে অপহরণে উদ্বেগ জানানোয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বুধবার দুপুরে অপহরণের প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে কলাবাগানে গার্মেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবি সিদ্দিককে পায় পুলিশ। অপহরণকারীরা মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় বলে জানান  তিনি।

শুক্রবার সকালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জে। সেখানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

বিকাল ৫টায় ঢাকায় নিজেদের বাসায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিদ্দিক-রিজওয়ানা দম্পতি।

সংবাদ সম্মেলনে  অপহরণের সময় থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরেন আবু বকর সিদ্দিক।