নববর্ষ উদযাপনে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা কক্সবাজার গিয়েছিল, সোমবার দুপুরে সাগরে নামার পর নয়জন ভেসে যান। এর মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হলেও তার মধ্যে দুজন হাসপাতালে মারা যান।
ভেসে যাওয়া চার ছাত্রকে উদ্ধারে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উপকূল রক্ষী বাহিনীর টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কাজী হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, চার ছাত্রকে যতক্ষণ না উদ্ধার করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঘটনা শুনে কক্সবাজার ছুটে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু আপাতত করার নেই। কাল (বুধবার) রাত পর্যন্ত আমরা থাকব। তারপর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হব।”
নিখোঁজ চার শিক্ষার্থী হলেন- সাব্বির হাসান, শাহারিয়ার রহমান, উদয় মাহমুদ, গোলাম রহিম বাপ্পী। মারা গেছেন- সাদ্দাম হোসেন ও মনফেজুল ইসলাম। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফারহানুল হক, আসিফ মোস্তফা, ইফতেখার মাহমুদ ফয়সাল।
এরা সবাই কম্পিউটার বিজ্ঞান (সিএসই) বিভাগের ছাত্র। পরীক্ষা শেষ করে তারা নিজ উদ্যোগে নববর্ষ উদযাপনে টেকনাফ হয়ে সেন্ট মার্টিন গিয়েছিলেন।
এই সফর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তারা কিছু জানায়নি বলে জানান অধ্যাপক মামুন। তিনি জানান, সফরে থাকা ২৪ ছাত্র মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় রওনা হয়েছে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ব্যাচের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সানভিরাজ হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৯ এপ্রিল বিএসসি পরীক্ষা শেষ হলে ওরা নিজেরাই সেন্ট মার্টিনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।”
এদিকে মনফেজুলের মরদেহ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার বীরহলি গ্রামে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা মাকসেদুল আলম। দুই ভাইয়ের মধ্যে মনফেজুল ছিলেন ছোট।
সাদ্দাম হোসেনের জানাজা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬৪ পশ্চিম তেজতুরি বাজারের পৈত্রিক বাড়িতে হয় বলে জানান তার বাবা গোলাম ফারুক।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আমির সিরাজী সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে ভর্তি ফারহান, আসিফ ও ফয়সাল এখন আশঙ্কামুক্ত।