৬ এমপির ‘অবৈধ সম্পদ’ পেয়েছে দুদক

ছয়জন সংসদ সদস্যের অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, যার মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক রয়েছেন।

সালাউদ্দিন ওয়াহিদ প্রীতমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2014, 01:22 PM
Updated : 25 March 2014, 01:51 PM

অনুসন্ধানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের অবৈধ সম্পদের তথ্যও মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ।

রুহুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ সংসদ সদস্য হলেন- সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, এনামুল হক, আসলামুল হক, আব্দুর রহমান বদি ও আব্দুল জব্বার।

এর মধ্যে জব্বার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য, বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগের। মান্নান খান নবম সংসদের সদস্য হলেও দশম সংসদে হেরেছেন।

দশম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেয়া হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

তার ভিত্তিতে এই সাতজনের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক, রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামুল হক ছাড়া সবাইকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে সবাইকে।

দুদক কমিশনার নাসিরউদ্দিন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের (৭ জনের) অবৈধ সম্পদের তথ্য আমরা পেয়েছি।”

আ ফ ম রুহুল হক ও আবদুল মান্নান খান

আব্দুর রহমান বদি ও আসলামুল হক

৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর ২২ জানুয়ারি কমিশনের এক বৈঠকে এই সাতজনের সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তাও নিয়োগ করে দুদক।

দুদকের যে ইউনিট নির্বাচনী হলফনামায় জনপ্রতিনিধিদের সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে, তার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন নাসিরউদ্দিন।

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর হলফনামার অনুলিপি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দুদক।   

নাসিরউদ্দিন বলেন, “আমরা যে শুধু হলফনামা থেকেই তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছি, বিষয়টি এমন নয়। তাদের আয়কর বিবরণীসহ বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। পাশাপাশি দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানও ছিল।”

সাতক্ষীরা থেকে নির্বাচিত রুহুল হক এবং ঢাকার সংসদ সদস্য আসলাম বলেছেন, তাদের হলফনামায় দেয়া সম্পদের তথ্যে ‘ভুল’ ছিল, যা এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা সংশোধন করেছেন।

তবে দুদক কমিশনার বলেন, “হলফনামায় সম্পদ বিবরণীর তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি  নির্বাচনী হলফনামায় যে তথ্য দিয়েছেন, তা-ই চূড়ান্ত। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোনো প্রকার সংশোধন গ্রহণযোগ্য নয়।

“যারা বলছেন, যে তারা পরবর্তীতে এফিডেভিটের মাধ্যমে সঠিক সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তারা সম্ভবত আইনের বিষয়টি লক্ষ্য করেননি।”

এ পর্যায়ে দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে- জানতে চাইলে নাসিরউদ্দিন বলেন,সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ওই সাতজনকে বলা হয়েছে।

“তারা দাখিল করলে আমাদের হাতে থাকা তথ্যের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হবে। পর্যালোচনার পরই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”