বুধবার রাতে সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রাম থেকে খাদিজা বেগম নামের ওই নারীকে আটক করা হয় বলে কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক জানিয়েছেন।
নিহতের নাম মফিজুর রহমান (৪০)। তিনি শহরতলীর তপসীডাঙ্গা গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে।
খাদিজারই বোনের দুই মেয়েকে বিয়ে করেন মফিজ। এরপর তিনি খাদিজার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি বলেন, খাদিজা পুলিশের কাছে মফিজকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
খাদিজা পুলিশকে জানান, গত কিছুদিন থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছোট মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল মফিজ। প্রায়দিনই সন্ধ্যার পর খাদিজার বাড়ি গিয়ে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন তিনি।
নিষেধ করলেও মফিজ তা না শোনার পর খাদিজা মেয়েকে ঢাকায় তার ছেলের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও (জিডি) করেন।
ওই জিডির ভিত্তিতে পুলিশ এলাকায় গিয়েও মফিজকে খুঁজে পায়নি বলে ওসি জানান।
থানায় আটক খাদিজা সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার পরও তার সন্ধানের জন্য বারবার বাড়িতে আসতে থাকেন মফিজুর।
এ নিয়ে এলাকার অন্যরা কুৎসা রটালে মফিজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে জানান খাদিজা।
তিনি বলেন,“রাত ৮টার দিকে মফিজ বাড়ি এলে প্রথমে তার চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়ো ছুড়ে দিই। তারপর দা দিয়ে তাকে একের পর এক আঘাত করি।”
মফিজের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।