পরিবারের সদস্যরা আব্দুল কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করে আসার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে, ক্রমেই বাড়ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা।
Published : 12 Dec 2013, 08:26 PM
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিরাপত্তার জোরদারের মধ্যে কারাগারে ঢুকেছেন সিভিল সার্জন ও এক মৌলভী। ঢুকেছেন ঢাকার জেলা প্রশাসকও।
নিরাপত্তার বন্দোবস্ত দেখে মঙ্গলবারের আবহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, যদিও রিভিউ আবেদন খারিজের পর দণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা না থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো ঘোষণা দেননি।
গত মঙ্গলবার আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা বলেছিলেন। পরে চেম্বার বিচারপতির এক আদেশে তা আটকে যায়।
রিভিউ আবেদন খারিজের পর সেদিনের মতো বৃহস্পতিবারও আইন উপদেষ্টা শফিক আহমেদের উপস্থিতিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক হয়। তবে সেদিনের মতো এদিন কোনো কর্মকর্তাই মুখে খোলেননি।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কাদের মোল্লার স্বজনরা দেখা করে আসার পর তার আইনজীবীরা দেখা করার আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন কারাকর্তৃপক্ষের কাছে।
তবে তা নাকচ করা হয়েছে বলে কাদের মোল্লার আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এক জুনিয়র আইনজীবী আজিমুদ্দিন পাটওয়ারি আবেদনটি নিয়ে কারাগারে যান। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ওই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এখন আর দেখা করা সম্ভব নয়।”
রাত পৌনে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র্যাব-পলিশের তিন শতাধিক সদস্যের অবস্থান ছিল, যা আরো বাড়ছিল।
রাত ৯টার দিকে কারাগারে ঢুকতে দেখা যায় ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধাকে, তার সঙ্গে মনির হোসেন নামে এক মৌলভীকেও ঢুকতে দেখা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামিকে তওবা পড়ানো হয় এবং ফাঁসিতে ঝোলানোর পর পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।
সিভিল সার্জন ও মৌলভীকে নিয়ে ঢুকেছেন ডিআইজি (প্রিজন্স) গোলাম হায়দার, অতিরিক্ত ডিআইজি ইফতেখার আহমেদ ও র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ইমরান হোসেন।
এর আধা ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন কারাগারে ঢুকেছেন।
কারাগারের সামনে অনেক মানুষের উপস্থিতি সন্ধ্যার পর থাকলেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডে গাড়ি চলাচল।
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পড়ে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাবের অন্তত ৫০ জন সদস্য সতর্ক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন কারাফটকে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কারগারের সামনে পুলিশের একটি এপিসি (আর্মাড পার্সোনাল ক্যারিয়ার) থাকলেও রাত পৌনে ৯টার দেকে সেখানে আরো একটি গাড়ি উপস্থিত হয়।