জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
Published : 11 Dec 2013, 09:31 PM
বুধবার মন্ত্রীর একান্ত সচিব শহীদুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিটি নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পৌঁছে। চিঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। তার পরিবারও চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রার্থী জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “ব্যক্তিগত প্রতিপক্ষ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যে কোনো মুহূর্তে আমার জীবননাশ ঘটাতে পারে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান।
“এমতাবস্থায় ব্যক্তিগত ও পরিবারের নিরাপত্তা বিধানকল্পে নির্বাচনকালীন আচরণবিধি অনুসরণ করে ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”
চিঠিতে গত ৯ জুন রাজধানীর কল্যাণপুরে তথ্যমন্ত্রীর দারুস সালাম রোডের বাসভবনে বোমা হামলা এবং ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে হামলার কথা তুলে ধরা হয়।
সেই সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার গোপালনগরের বাসভবনের পাশে একটি গাড়িতে অগ্নিসংয়োগ করার কথাও বলা হয়।
মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ চিঠির অনুলিপি পুলিশ মহাপরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। কমিশন সচিবালয় এ বিষয়টি কমিশন সভায় তুলবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
সংশোধিত আচরণবিধিতে প্রধানমন্ত্রী-বিরোধী দলীয় নেতা, মন্ত্রীসহ কিছু ব্যক্তিকে ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারণায় সব ধরনের সুযোগ সুবিধা বাদ দিতে হবে।
কমিশন জানিয়েছিল, নির্বাচনী প্রচারণায় সংশ্লিষ্ট প্রটেকশন চাইলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে ৫ জানুয়ারি। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে।
আরো ১০ জনের আপিল মঞ্জুর
এদিকে বুধবার নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে আরো ৬০টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়েছে বলে কমিশনের আইন শাখা জানিয়েছে। এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার জানানো হবে।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় শুনানি হওয়া ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের আপিল আবেদন মঞ্জুর করে ইসি। এর আগে প্রথম দফায় ১৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়।