সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কাযালয়ে লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগে জমা দেয়ার শেষ সময় ঠিক ৫টার কিছু আগেই এ আবেদন জমা দেয় অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুজ্জামানের কাছে আবেদন জমা দেয়া হয়।
থ্রি জি নীতিমালায় এক বিদেশি অপারেটরের আসার সুযোগ থাকলেও কোনো বিদেশি অপারেটর আবেদন করেনি। অবশ্য রাষ্ট্রয়াত্ত অপারেটর টেলিটকের আগেই আবেদন জমা দিয়েছে।
আবেদন জমা দেয়ার পর বিটিআরসি চেয়াম্যান সুনীল কান্তি বোস সাংবাদিকদের বলেন, এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে থ্রি জি নিলামের প্রস্তুতি শুরু হল।
অপারেটরদের কর কাঠামো নিয়ে বিভিন্ন আপত্তি ও অন্যান্য সমস্যা আন্তরিকতার সাথে সমাধান করা হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “এখন অপারেটররা খুব খুশি।”
বিদেশি অপারেটর না এলেও নিলামে প্রতিযোগিতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
আবেদন জমা দেয়ার পর গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, “বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে, যা এখনো সমাধান হয়নি, অমীমাংসিত কিছু বিষয় খুব শিগগিরই মীমাংসা হবে বলে আশা করি।
“সিম রিপ্লেসমেন্ট ইস্যুটি আগামী ২৬ অগাস্ট বিড আনেস্ট মানি জমা দেয়ার আগেই সমাধান হবে বলে আশা করি।”
বাংলালিংকের সিনিয়র পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, “আশা করি বিড আর্নেস্ট মানি জমা দেয়ার আগেই অন্যান্য অমীমাংসিত ইস্যুগুলো মীমাংসা হয়ে যাবে।”
রবি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান বলেন, “নতুন গ্রাহকদের কাছে থ্রি জি প্রযুক্তি নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা একধাপ এগিয়েছি।”
এয়ারটেলের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আশরাফ এইচ চৌধুরী এবং সিটিসেলের জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) শরিফ শাহ জামাল রাজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন জমা দেয়।
সুনীল বোস অপারেটরদের দাবির বিষয়ে বলেন, “বিড আর্নেস্ট মানি জমা দেয়ার আগে তাদের দাবিগুলো সুরাহা হবে বলে আমি আশা করি।”
গ্রামীণফোন আবেদন জমা দেয়া আগে কোনো শর্ত দিয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কোনো শর্ত দেয়নি।
“সরকার তাদের নিশ্চিত করেছে, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন প্রতিবেদনের মাধ্যমে লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।”
লাইসেন্স আবেদন জমা দেয়ার আগে বেসরকারী অপারেটরদের সিইওদের সাথে বৈঠক হয়েছে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা (থ্রি জি) লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
৬ অপারেটরের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলক থ্রি জি সেবা দিচ্ছে। থ্রি জি চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে পরিমাণ টাকা দিয়েই টেলিটককে লাইসেন্স নিতে হবে।
টেলিটকসহ মোট ৫ অপারেটর থ্রি জি লাইসেন্স পাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৫ বছরের জন্য থ্রি জি লাইসেন্স পাবে অপারেটররা।