শাহবাগ আন্দোলনকারীদের কটূক্তি, মাহফিলে ধোলাই

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে কটূক্তি করার পর মাগুরা সদরে একটি ওয়াজ মাহফিলে মুসুল্লিরা এক ব্যক্তিকে ধোলাই দিয়েছেন।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2013, 05:46 AM
Updated : 18 Feb 2013, 05:46 AM

রোববার রাতে উপজেলার আবালপুর গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে  পুলিশ গিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে বলে জানান এসপি।

ওয়াজ মাহফিলের অন্যতম আয়োজক বাহারুল ইসলাম ও এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদুল ইসলাম বাবলু মিয়াসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দিনব্যাপী মাহফিলের দ্বিতীয় রাতে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের মওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসি শাহবাগ আন্দোলনকারীদের ‘কাফের’ ‘নাস্তিক’ বলে কটূক্তিসহ নানা অশালীন মন্তব্য করেন।

এ সময় স্থানীয় মুসুল্লিরা তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। কিন্তু এনায়েতুল্লাহ তার কথাকে কোরানের বাণী উল্লেখ করে বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন।

মওলানা ব্লগার রাজীবের নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণকারীরা ‘দোজখবাসী’ হবে বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ‘আলেম’ উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রহসন ও ষড়যন্ত্রের’ বিচার রুখতে মুসুল্লিদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত মুসুল্লিরা উত্তেজিত হয়ে ‘ধর ধর’ বলে এগিয়ে গেলে এনায়েতুল্লাহ মঞ্চ থেকে নেমে দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। তখন জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

তারা জানান, এনায়েততুল্লাহ তখন নিজের প্রাইভেটকারে উঠতে গেলে জনতা তার পাঞ্জাবি-পায়জামা টেনে ছিঁড়ে ফেলে এবং গাড়ি ধাওয়া করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

বাহারুল ইসলাম জানান, ৪৫ বছর ধরে এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে। কোনোদিন কোনো সমস্যা হয়নি।

“কিন্তু এবছর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসির কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে তাতে অশান্তি হল,”  মন্তব্য করেন আয়োজক বাহারুল।

জেলা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আন্দোলনের চেতানাকে নষ্ট করতে জামায়াত ও তাদের দোসররা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, বিভেদ সৃষ্টি করছে। কিন্তু প্রকৃত মুসুল্লিদের উচিত এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এদের প্রতিহত করা।