এই হরতালে সমর্থন দিয়ে বিএনপি ‘প্রকাশ্যে একাত্তরের ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক হরতালবিরোধী সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে হরতাল দেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল। বিএনপি এই হরতালে সমর্থন দিয়ে প্রকাশ্যে একাত্তরের ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছে।”
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, আটক শীর্ষনেতাদের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে এই হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের শরিক বিএনপিও এই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে।
জামায়াতের এই হরতালে জনগণের ‘বিন্দুমাত্র সমর্থন নেই’ মন্তব্য করে কামরুল বলেন, “তারা (জামায়াত) দিনদিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।”
এই হরতাল ‘জামায়াতের নয়, বিএনপির’- এমন দাবি করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সমাবেশে বলেন, “বিএনপিই এটা জামায়াতকে দিয়ে করিয়েছে।”
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে ‘চিরতরে নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, “রাজনীতির মাঠ গরম হচ্ছে না। দিন যতো যাচ্ছে রাজনীতির মাঠ ততো ঠাণ্ডা হচ্ছে। দু একটি বাস পুড়িয়ে আন্দোলনের মাঠ গরম করা যায় না।”
হরতালের সকালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকা সরগরম করে রাখে। মিছিল থেকে তারা হরতাল ও জামায়াত বিরোধী স্লোগান দেয়।
এরপর সেখানে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাইরেও বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।