সাগর-রুনির ‘হত্যাকারীদের’ গ্রেপ্তারে অনশনের ডাক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ‘গণ অনশন’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, “২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরণ গণ-অনশন কর্মসূচিও আসতে পারে।”

এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অনির্দিষ্টকাল চলতে দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের চারজন পেশাদার খুনি বলে র‌্যাব দাবি করেছে।

“যদি পেশাদার খুনিরা খুন করে থাকে, তবে তারা নিজে থেকে যায়নি। কেউ তাদের ভাড়া করেছিল। পেশাদার খুনিরা কেন গিয়েছিল, কারা তাদের ভাড়া করেছিল- সেটা খুঁজে বের করতে হবে। পিছনে কে এমন শক্তিশালী বসে আছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?”

ইকবাল সোবহান চৌধুরী তদন্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা দ্বিতীয় জজ মিয়া নাটক সাজানোর চেষ্টা করবেন না। প্রথম জজ মিয়া নাটকের পরিণতি ভালো হয়নি। কাজেই প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করুন এবং এর পিছনের লোকদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।”

অন্যদের মধ্যে বিএফইউজের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুস শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাকের হোসাইন, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহামুদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ সমাবেশে বক্তব্য দেন।

মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজের বাসায় খুন হন।

গত ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন আটজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত সাংবাদিক দম্পতির পারিবারিক বন্ধু তানভীরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তদের মধ্যে পাঁচজন ড. নিতাই হত্যা মামলারও আসামি।