মঈনুল হক চৌধুরী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, জুলাই ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের। তবে নিষিদ্ধ কোনো দল ইসির কাছে নিবন্ধন পাবে না। নিবন্ধিত হওয়ার পরও নিষিদ্ধ হলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-এর বিধান অনুযায়ী তা বাতিল করা হবে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলেন।
ছহুল হোসাইন বলেন, "ইসির সঙ্গে নিবন্ধিত না হয়েও কোন দল রাজনীতি করতে পারবে। ফলে আমরা কেবল আইন অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল করতে পারি। কিন্তু রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। এমন কিছু করতে হলে সরকারকেই করতে হবে।"
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলায় আপিল বিভাগের রায় গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে।
রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও তাদের তৎপরতা নিষিদ্ধ থাকা সংক্রান্ত বিধান পুনরুজ্জীবিত করেছে বলে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এ বিষয়ে আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ শনিবার এক সেমিনারে বলেছেন, "ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।"
সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, "রাজনৈতিক দল বা সংঘ করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু ধর্মীয় নামযুক্ত কোনো দল সংবিধান অনুয়ায়ী রাজনীতি করতে পারবে না।"
আইনমন্ত্রী জানান, ৭২'র সংবিধানের মূল চার নীতি- জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র ফিরে আসায় ধর্মভিত্তিক দলগুলো আর রাজনীতি করতে পারবে না।
সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে, "জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।"
তবে সংবিধান সংশোধিত হলে এ অনুচ্ছেদে যুক্ত হবে- "তবে শর্ত থাকে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী কোনো সা