শনিবার গ্রেপ্তারের পর এই চিকিৎসকদের জামায়াত সমর্থক উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী ‘ধ্বংসাত্মককর্মকাণ্ডের’পরিকল্পনার অভিযোগ এনেছিল পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে রোববার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতেও নেওয়া হয়েছিল।
রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তাদের আদালতে পাঠিয়ে দিলে ঢাকার মহানগর হাকিম নূরুন্নাহার ইয়াসমিন সাত চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চিকিৎসকদের আইনজীবী হাবিবুর রহমান মিয়াজী আদালতে তাদের পক্ষে জামিন না চেয়ে কারাগারে তাদের সুচিকিৎসার আবেদন জানান। বিচারক তখন কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এদিকে পুলিশের রিমান্ড ফেরতের প্রতিবেদনে এই চিকিৎসকদের কাউকেই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী বা নাশকতার পরিকল্পনাকারী বলা হয়নি।
বিষয়টি তুলে ধরে আসামিদের আইনজীবী হাবিবুর আদালতে বলেন, “কেন বা কী জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ। কোনো রাজনৈতিক বৈঠক বা সমাবেশের কথার কোনোপ্রমাণও আদালতে জমা দিতে পারেনি।”
আসামিদের কাছে কোনো রাজনৈতিক কাগজপত্র বা এই সংক্রান্ত অন্য কোনো নথি পাওয়া যায়নি বলে মামলার বাদী মারুফ হোসেন জানান।
তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা শরীফুল বলেছিলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধিতাসহ ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কাজের জন্য গোপন বৈঠকের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
লালমাটিয়ার ইউরো-বাংলা হার্ট হসপিটাল থেকে গ্রেপ্তার এই চিকিৎসকরা হলেন- আনোয়ারুল আজিম (৫৫), মো. আলী আশরাফ খান (৫৫), মো. তৌহিদ আলী বেরুনী (৪২), জহির উদ্দিন মাহমুদ (৫৬), সাইফুল আমিন (৫৪), সাহাবুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী (৫৯) ও ফজলুর রহমান মজুমদার (৫৯)।
ডা. আনোয়ারুল আজিম ওই হাসপাতাল এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বায়োফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্যরা হাসপাতালের পরিচালক।