জামায়াত সমর্থক সাত চিকিৎসক রিমান্ডে

সরকারবিরোধী ‘ধ্বংসাত্মক’ কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক সাতজন চিকিৎসককে একদিন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2017, 02:02 PM
Updated : 24 Sept 2017, 04:02 PM

এই চিকিৎসকরা হলেন- ডা. আনোয়ারুল আজিম (৫৫), ডা. মো. আলী আশরাফ খান (৫৫), ডা. মো. তৌহিদ আলী বেরুনী (৪২), ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ (৫৬), মো. সাইফুল আমিন (৫৪), ডা. সাহাবুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী (৫৯) ও ডা. মো. ফজলুর রহমান মজুমদার (৫৯)।

শনিবার লালমাটিয়া থেকে গ্রেপ্তারের পর বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় রোববার তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তাদের জামিন

শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন জানান।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরির্দশক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধিতাসহ ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কাজের জন্য গোপন বৈঠকের সময় শনিবার দুপুর দেড়টায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডা. কামরুল আহসানসহ আট-১০ জন পালিয়ে যায়।”                                                            

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার দুপুরে লালমাটিয়ার ইউরো-বাংলা হার্ট হাসপাতালের ৫০১ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই হাসপাতাল বায়োফার্মা নামে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়।

ডা. আনোয়ারুল আজিম ওই হাসপাতাল ও বায়োফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্যরা হাসপাতালের পরিচালক বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শরীফ।

দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের পর রাতে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মারুফ হোসেন বাদী হয়ে এই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে হাসপাতালের একজন কর্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ যখন অভিযান চালায় তখন হাসপাতালের একটি প্রজেক্ট নিয়ে তারা সভা করছিল। সেখানে কোনো রাজনৈতিক সভা হচ্ছিল না।”

আসামিদের কাছে কোনো রাজনৈতিক কাগজপত্র বা অন্য কোনো নথি পাওয়া যায়নি বলে

মামলার বাদী মারুফ হোসেন জানিয়েছেন।