প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটূক্তি’: ইমরানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদী মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন উল্লাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2017, 08:20 AM
Updated : 20 Sept 2017, 10:50 AM

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম বুধবার এ পরোয়ানা জারি করেন।

একইসঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকের দায়ের করা এ মামলায় বিচারক অভিযোগ গঠন পিছিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ঠিক করেন বলে জানান এ আদালতের পেশকার আশরাফুল হক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এদিন বাদী ও আসামিদের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে বাদীর পক্ষে সময় আবেদন করা থাকলেও আসামিদের পক্ষে কোনো পদক্ষেপই ছিল না।

এ কারণে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান আদালতের এ কর্মচারী।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী গত ৩১ মে এই মামলা দায়ের করেন, যাতে গত ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জামানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনও নেন ইমরান ও সনাতন।

আর্জিতে বাদী বলেন, গত ২৮ মে রাজধানীতে মশাল মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘যে কটূক্তি’ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ, অপমানিত।

এ ছাড়া সনাতন উল্লাস মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে স্লোগান দেন।

গণজাগরণ মঞ্চের ওই মিছিল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠার পর ইমরানকে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে একটি মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান ছাত্রলীগেরই রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের জামাতা।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়। এখন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন মঞ্চে সক্রিয়।

গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের ‘দাবি মেনে’ পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন লেখা বাদ দেওয়ার পর সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনের প্রতিক্রিয়া আসে মঞ্চের কর্মীদের কাছ থেকে।

ওই সময় এক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান বলেছিলেন, মৌলবাদীদের ‘তুষ্ট করতে নোংরা রাজনৈতিক খেলায়’ নেমেছে সরকার, ‘আখের গোছাতে ব্যবহার করছে’ ধর্মকে।