হাই কোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ মঙ্গলবার জামিন মঞ্জুর এবং ওই রুল জারি করে।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ এবং তার দুই ভাই গুলজার ও আজাদ আহমেদের করা পাঁচটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ফারুকের বেঞ্চ ওই রুল জারি করে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক সাংবাদিকদের জানান, আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা মালামাল কেন ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছে আদালত। একইসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া নোটিশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বনানীর একটি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ।
গত মে মাসে ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ছেলের পক্ষে দাঁড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন দিলদার। তাদের বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ তুলে তা তদন্তের দাবি জানান অনেকে।
এই প্রেক্ষাপটে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
মালামাল জব্দের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ জুলাই হাই কোর্টে পাঁচটি রিট আবেদন করেন দিলদার ও তার দুই ভাই।
দিলদারদের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে জিনাত হকের সঙ্গে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন রিপন ছিলেন।
আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা দায়ের করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ ওই মামলাগুলোয় তিন ভাইয়ের চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে বলে তাদের আইনজীবী এএম আমিনউদ্দিন জানান।