নিহত মোফাজ্জল হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার মোহাম্মদপুর থানায় করা এ মামলায় এক শিক্ষক এবং চার ছাত্রকে আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে শিক্ষক ও ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজানুর ইসলাম।
রোববার রাতে মোহাম্মদপুরের কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসায় নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য ডাকাকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেণির সঙ্গে নবম শ্রেণির ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় মোফাজ্জল আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার সময় সোমবার সকাল ৬টায় তার মৃত্যু হয়। মোফাজ্জলের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
তবে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর মোফাজ্জলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল নাকি অন্য কোন কারণে- সে বিষয়ে তার সহপাঠী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের জের ধরে পরে মোফাজ্জলকে হত্যা করা হয় বলে দাবি তার স্বজনদের।
মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান এসআই সুজানুর ইসলাম।
গ্রেপ্তার শিক্ষক মিজানুর রহমান সংঘর্ঘের সময় নবম শ্রেণির ছাত্রদের উস্কে দেন- প্রাথমিক তদন্তে এমন প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছেন মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
এছাড়া ঘটনা সম্পর্কে দশম শ্রেণির শিক্ষর্থী এবং কয়েকজন শিক্ষকের দেওয়া তথ্য নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সংঘর্ষের পর কয়েক দফায় নবম শ্রেণির ৪৫জন ছাত্র মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজী আবদুল আলীম রিজভী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।