শুক্রবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পঞ্চদশ বৈঠকে মহাসচিব হিসেবে তার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।
ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শহীদুল বিমসটেক মহাসচিব পদে সুমিত নাকানডালার স্থলাভিষিক্ত হলেন। আগামী তিন বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
বিমসটেকের প্রথম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শ্রীলঙ্কার কূটনীতিক নাকানডালা বৃহস্পতিবার তার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
বিমসটেক দেশগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবারের এক বৈঠকে মহাসচিব পদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শহীদুলের নাম প্রস্তাব করা হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
পরে শুক্রবার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়, যেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা বৈঠকের উদ্বোধন করেন; সভাপতিত্ব করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা।
বিমসটেক দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়াতে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৭ সালে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) গঠিত হয়।
ব্যাংকক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই উদ্যোগ শুরু করে; পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত জোটের সম্মেলনে ঢাকায় স্থায়ী সচিবালয় স্থাপনের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর সেপ্টেম্বরে তার যাত্রা শুরু হয়।
শ্রীলঙ্কাও এ সচিবালয় স্থাপনে আগ্রহী ছিল। কিন্তু জোটের প্রথম মহাসচিব শ্রীলঙ্কা থেকে করার ব্যাপারে সদস্য দেশগুলো একমত হওয়ার পর সংস্থাটির প্রথম মহাসচিব হন সুমিত নাকানডালা।
দুই দশকের পুরনো এ জোটে দ্বিতীয় মহাসচিব হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি এম শহীদুল ইসলাম।