জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষদিন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে একটি কার্য-অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় জেলা প্রশাসনে সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ জনের টিম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা।
এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পুলিশ লাইনে সব সময় পুলিশ থাকে, আইজি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) সাহেবও বলে আসছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জন্য তারা (ডিসি) চাওয়া মাত্র পুলিশ পাবেন।”
তিনি বলেন, “শুধু পুলিশ নয়, আনসারেরও টিম ওখানে থাকবে। পুলিশ, আনসার- যখন যাকে চাইবে জেলা প্রশাসক কিংবা তার প্রতিনিধি তাকে পাবেন।”
মন্ত্রী বলেন, “ফাঁড়ি, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্প পুলিশ- এগুলো আরও বৃদ্ধি, ফায়ার সার্ভিসের আরও কয়েকটি স্টেশন নতুন করে দেওয়া ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন তারা (ডিসি)।
“জেলখানাগুলোর আধুনিকীকরণের প্রস্তাব ছিল, প্রস্তাব ছিল মাদকের নিরাময় কেন্দ্র করা, মাদক ব্যবসায়ী যারা আত্মসমর্পণ করছেন তাদের পুনর্বাসন করা যায় কিনা- এসব বিষয়ে প্রস্তাব ছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত দিয়ে এসেছি।”
জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “তারা কোনো প্রশ্ন তোলে নাই। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে এখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল।
“আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ভাল কাজ করছে, আমাদের গোয়েন্দারা ভাল কাজ করছে। আমরা তাদেরর কাছে আহ্বান করেছি… সবাই মিলে কাজ করবেন।”
ডিসিরা যখন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন বোধ করবেন তখন তাদের সঙ্গে একত্রে বৈঠক করে কাজের প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।