ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছি আমাদের উন্নয়নের কাজে। মানুষের নাগালের মধ্যে প্রযুক্তি পৌঁছে দিয়েছি। সাড়ে ১৩ কোটি মোবাইল আমাদের পকেটে। তার মাধ্যমে কী না জানে আজকের ছেলে মেয়েরা! এখানে তাদের জ্ঞানের সন্ধানটা দিতে হবে।
“এখানে একটা রিস্ক আছে, অন্ধকার গলিও আছে। খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন সেদিকে না যায়।”
জেএসসি ও পিইসিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ডিআরইউ সদস্যের সন্তানদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রীর এ আহ্বান আসে।
দেশের ‘৯৯ শতাংশের বেশি’ শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসত পারলেও তাদের ঝরে পড়া ঠেকানোকেই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন নাহিদ।
তিনি বলেন, “আগে শতকরা ৫০ভাগ শিশু, যাদের স্কুলে যাওয়ার বয়স, তারা স্কুলে যেত না। যারা স্কুলে যায় তাদের মধ্যে ৪৮ ভাগ ক্লাস ফাইভ পাস করার আগে ঝরে পড়ত। এরপর যারা যেত, তাদের মধ্যে ৪২ ভাগ নবম শ্রেণির আগে ঝরে পড়ত। তাহলে আমরা কাদের নিয়ে এগোব?
শিশুদের আধুনিক ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগোলেও মানসম্মত শিক্ষকের অভাবে সেটা থমকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান ঠিক করা। কিন্তু গুণগত মানের শিক্ষার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে গুণগত মানের শিক্ষক। আমরা সেটা পাই নাই। মেধাবীরা সেভাবে শিক্ষকতায় আসতে চায় না, আমরা সেভাবে সম্মান মর্যাদা দিতে পারি না। ফলে আমরা এখানে সবাইকে ধরে রাখতে পারি না, আনতে পারি না।”
এর বিপরীতে শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট টিউশনিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং প্রশ্নফাঁসে জড়িয়ে পড়ছেন বলে তাদের সমালোচনা করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
“প্রশ্নপত্র ফাঁসের অনেক পথ বন্ধ করলেও কিছু শিক্ষক এখন নিজেরা প্রশ্নফাঁস করে দিচ্ছেন। যার মাধ্যমে তারা পেশাকেই কলঙ্কিত করছেন।”
পিইসিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য এ অনুষ্ঠানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কামাল তালুকদারের ছেলে মিনহাজ তালুকদারসহ ২৭ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়। আর জেএসসিতে বৃত্তি দেওয়া হয় ১৮ জনকে।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।
অন্যদের মধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, ঢাকা টাইমসের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, ডিআরইউ সহসভাপতি আবু দারদা যোবায়ের, সদস্য শাহনেওয়াজ দুলাল, অভিভাবকদের মধ্যে সাবিনা ইয়াসমিন, সুরাইয়া মুন্নী ও শিক্ষার্থী সাবরিনা নুজহাত বক্তব্য দেন।