আবার বিকাল ৫টা থেকে ঘণ্টাখানেক ভিড় কিছুটা বাড়ে বলে জানিয়েছেন লঞ্চগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মচারী ও কর্মকর্তারা।
এদিন প্রচুর যাত্রী পাওয়ার আশায় থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সংখ্যায় যাত্রী না পাওয়ায় অনেক লঞ্চের কর্মচারী ও মালিকদের আক্ষেপ করতে দেখা যায়।
ইফতারের পর যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলে আশায় ছিলেন বিভিন্ন লঞ্চ কোম্পানির মালিক-কর্মচারীরা। কিন্তু ইফতারের পর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ছিল অনেকটাই ফাঁকা।
এমভি সুন্দরবন লঞ্চের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম ঝন্টুও প্রায় একই সুরে বলেন, “যাত্রী আছে, তবে ঈদ মৌসুমে যেমন যাত্রী পাওয়ার কথা তেমন পাচ্ছি না।”
রোববারবেশি যাত্রী পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
তবে লঞ্চ মালিকরা যাত্রীর জন্য হা-হুঁতাশ করলেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা বলছেন, টার্মিনালের পরিধি বড় হওয়ায়এখন আর লঞ্চ যাত্রীর চাপ তেমন দৃশ্যমান হয় না।
আগে সদরঘাট থেকে সব রুটের যাত্রীরা লঞ্চে উঠলেও এখন চাঁদপুরের যাত্রীরা লালকুঠির ঘাট দিয়ে উঠেন।
এছাড়া ওয়াইজঘাট ও সদরঘাটের কয়েকটি আলাদা জায়গা দিয়েও যাত্রীরা উঠানামা করে। সেজন্য সদরঘাটের মূল পন্টুনে যাত্রীদের খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির জানান, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে মোট ১২৫টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এছাড়া রাতে আরও প্রায় ২০টি লঞ্চ ঘাট ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ৩৩টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যায়।
এদিকে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মওদুদ হাওলাদারজানান।
তিনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পিক আওয়ারে অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ২৩৬ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।”
এছাড়া নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাবের পাশাপাশি বিএনসিসির সেচ্ছাসেবকরা মাঠে ছিল।
পুরো এলাকায় পুলিশের ৩২টি সিসি ক্যামেরা ছাড়াও বিআইডব্লিটিএর স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সবকিছু পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওয়াইজঘাট এলাকায় সুন্দরবন-১১ ও ঈগল-৩ লঞ্চের মধ্যে পড়ে ধাক্কায় একটি খেয়া নৌকা ডুবে যায়।
তবে নৌকার যাত্রীরা নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হন বলে পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবিরজানান।