উপচে পড়া ভিড় সদরঘাটে

নদীপথের ঈদযাত্রায় ছুটি শুরুর একদিন পর শনিবার সদরঘাটে লঞ্চ যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2017, 06:03 AM
Updated : 24 June 2017, 09:21 AM

এদিন ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ৩৩টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় জানিয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবারের ঈদযাত্রায় সারা দিনে ঘাট থেকে ১২৫টি লঞ্চ ছেড়েছে, যেখানে স্বাভাবিক সময় দিনে ৬০ থেকে ৬৫ লঞ্চ ছেড়ে যায়।

এরপরও শুক্রবার তেমন যাত্রী পাননি জানিয়ে শনিবার কিছু যাত্রী আসা-যাওয়া করছে বলছেন এমভি টিপু লঞ্চের ম্যানেজার মো. ফারুক হোসেন।

তবে তার অভিযোগ, লঞ্চে যাত্রী না ভরতেই কর্তৃপক্ষ ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করছে।

এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ বলছে, যথাযথ নিয়ম মেনেই লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে।

ভিড় থাকলেও বেশিরভাগ যাত্রী নির্বিঘ্নে লঞ্চে উঠতে পারছেন।

তবে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কেবিন না পাওয়ায় ডেকে বসে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত বরিশালের যাত্রী মোবারক হাওলাদার।

ঈদে ঘরে ফেরার চেষ্টায় শনিবার ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “লঞ্চ আছে, কিন্তু কোনো কেবিন পাচ্ছি না। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ডেকে বসে কিভাবে যাব?”

কেবিন নেই কেন জানতে চাইলে সুন্দরবন গ্রুপের মহা-ব্যবস্থাপক আবুল কালাম ঝন্টু বলেন, “কেবিন যাত্রীরা আগের থেকে বুকিং দিয়েছে। সুতরাং ঘাটে এসে এ মুহূর্তে কেবিন পাওয়া যাবে না।”

নিজেদের আত্মীয় স্বজনদেরও কেবিন দিতে পারছেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাত্রীর ভিড় দেখা গেলেও তত বেশি চাপ নেই।”

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) হুমায়ূন কবির বলেন, সকাল ৮টা পর্যন্ত পন্টুনে যাত্রীর খুব চাপ ছিল। এসময় পন্টুনের হুড়োহুড়ি ও চাপাচাপি হলেও কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

শনিবার শুক্রবারের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে বলেই মনে করছেন তিনি।

ডেকে জায়গা না পেয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বৃষ্টি-বাদলের শঙ্কা উপেক্ষা করে অনেকেই চড়েছেন লঞ্চের ছাদে। শনিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে তোলা ছবি। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

এদিকে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মওদুদ হাওলাদার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পিক আওয়ারে অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ২৩৬ জন পুলিশ সদস্য ডিউটি দেন। অন্য সময়ও শতাধিক পুলিশ থাকে।

এছাড়া নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব সদস্য ছাড়াও বিএনসিসির সেচ্ছাসেবক রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, পুরো এলাকায় ঘটনাবলি সিসি টিভির মাধ্যেমে মনিটরিং করা হচ্ছে।

কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কিছু দেখা গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হচ্ছে।