সোমবার ভিয়েনায় অস্ট্রিয়া প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে হবে, কীভাবে তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল।”
আইএইএ র ৬০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার ভিয়েনা পৌঁছনোর পরপরই গ্র্যান্ড হোটেলে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের লাগাতার হরতাল-অবরোধে গাড়িতে আগুন দেওয়ায় শতাধিক মানুষ মারা যায়।
পরের বছরও সরকার হটাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের তিন মাসের কর্মসূচিতে পেট্রোল বোমা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর কথা প্রবাসীদের বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল, আর তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না?
প্রবাসীদের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরীহ মানুষকে হত্যা করা, আত্মঘাতী হওয়া… আত্মহত্যা মহাপাপ… আত্মহত্যা করা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে।”
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে দেশের প্রতি। এই অশুভ অসুস্থ প্রক্রিয়া থেকে আমাদের দেশের মানুষকে সরিয়ে আনা।”
জঙ্গিবাদকে আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ঘটনা ঘটছে। এটা একটা দেশের না। এটা একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা।
সংবর্ধনায অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি অনীল দাসগুপ্ত, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ শরীফও বক্তব্য রাখেন।