হাই কোর্টে সাত খুন মামলার শুনানি শুরু

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা কার্যকর এবং আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে হাই কোর্টে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 07:46 AM
Updated : 22 May 2017, 01:45 PM

সোমবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

প্রথম দিনের শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন পেপারবুক থেকে উপস্থাপন শুরু করেন। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরুর পর মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শুনানি চলে।

মান্নান মোহন পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ এ মামলার এফআইআআর, জব্দ তালিকা, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সুরাতহাল প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। আগামীকাল আবার শুনানি হবে।”

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের মান্নান মোহনকে আদালতে সহযোগিতা করেন আরেক ডেপুটি অ্যাটির্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামীম আহসান।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন। একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে গত ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন।

সেনাবাহিনীর বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ওই রায়ে; বাকি নয়জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আছেন তারা হাই কোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাই কোর্টে আসে।

এরপর প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। বিজি প্রেসে মুদ্রণ শেষে সেই পেপারবুক গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।

এরপর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আলোচিত এ মামলার শুনানির জন্য গত ১৭ মে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে সোমবার তা কার্যতালিকায় আসে।