রাজনৈতিক দল ও সরকার চাইলে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
Published : 11 May 2017, 09:28 PM
তিনি বলেন, “ইভিএম বা যে নামেই হোক না কেন, প্রযুক্তিটি সবার কাছে আগে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে ইভিএম নিয়ে আমাদের ভাবনা চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেই ইভিএম ব্যবহার করা যাবে।”
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) পরিচিতি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
বাংলাদেশের ভোটারদের সঙ্গে ইভিএমের প্রথম পরিচয় ঘটে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এরপর স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনে সফলভাবে ইভিএম ব্যবহার হলেও কারিগরি ত্রুটিকে কেন্দ্র করে ইসি-বুয়েট দ্বন্দ্বে এ মেশিন আটকে যায়।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে গত ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
নতুন কমিশন ভোট আয়োজনের যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে, তাতে ডিজিটাল ভোটিং পদ্ধতি হিসেবে ইভিএম নিয়ে প্রস্তুতির জন্যও সময় রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, “স্বল্প সময়ের মধ্যে (ইমিডেয়েটলি) ইভিএম ব্যবহার করার সুযোগ নেই। ছোট ছোট নির্বাচনে পরীক্ষা করতে হবে ব্যবহার করা যাবে কিনা। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলো এটা চায় কিনা জানতে হবে। আমরা কারও ওপর এটা চাপিয়ে দিতে চাই না।”
প্রযুক্তিটির বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে সবার সঙ্গে আলোচনার কথাও বলেন তিনি।
“রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি পেলে এবং সরকার চাইলে আগামী সংসদেও ইভিএম ব্যবহার সম্ভব। এ জন্যে বড় ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ নিতে হবে।”
মধ্য জুলাইয়ে সংলাপের পরিকল্পনা
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের কথা জানান সিইসি।
তিনি জানান, নির্বাচনী বিষয়ে রোডম্যাপের কাজ ধরে এগোনো হবে। সেক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হবে।
“মধ্য জুলাইয়ের মধ্যে সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। আগাম কিছু বলব না, চূড়ান্ত হলেই আপনাদের জানাব।”
আরএফইডির সঙ্গে আলোচনায় সংগঠনের জন্য নির্বাচন ভবনে স্থায়ী কক্ষ বরাদ্দ ও সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন সিইসি।
আরিএফইডির সঙ্গে পরিচিতি অনুষ্ঠানের আগে নির্বাচন কমিশনে ইভিএম নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশনও হয়।