ঋণের কিস্তির জন্য জোর করবেন না: মায়া

অকালের বন্যায় হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে ঋণের কিস্তি আদায় না করতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা এনজিওগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

শহীদুল ইসলাম, নেত্রকোণা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2017, 09:18 AM
Updated : 25 April 2017, 10:42 AM

তার সঙ্গে থাকা যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ও এর সমর্থনে বক্তব্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সরকার আছে। ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এনজিও যারা আছেন, তাদের বলছি, আগামী একবছর কৃষকদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায়ে জোরাজুরি করবেন না।”

এরপর নেত্রকোণার সাংসদ আরিফ খান জয় ত্রাণ নিতে আসা কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, “আগামী একবছর এনজিওর ‍ঋণের কিস্তি দেবেন না।”

দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রা সচিব শাহ কামাল অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারি ত্রাণ তৎপরতার বিভিন্ন তথ্য অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সরকার আপনাদের জন্য কী কী ত্রাণ বরাদ্দ করেছে কতটুকু বরাদ্দ হয়েছে তা জেনে নিয়ে আপনারা ত্রাণ গ্রহণ করবেন। ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে সহ্য করা হবে না।”

ত্রাণ নিতে আসা বারহাট্টা উপজেলার সাবাদিয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আয়নাল হক (৫৫) জানান, তিনি এ বছর ১৬ কাঠা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। ১৫ দিন আগে ঢলের পানিতে সব ধান তলিয়ে যায়।

সেই ঢলের পর এই প্রথম ত্রাণ পেলেন জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “উপাস থাকছি। বর্তমানে বাঁচন যাইত না।”

সাইফুদ্দিন (৬০) নামে আরেক কৃষক জানান, তার নয় কাঠা জমির ধান তলিয়ে গেছে। স্থানীয় চেয়ার‌ম্যান ও ইউপি সদস্যদের পক্ষ থেকে এর আগে তার এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হলেও তা পাননি বলে জানান তিনি। 

“বড় বড় যারা, তারাই পাইছে। আমরারে দেয় নাই।”

সালেহা বেগম নামে এক গৃহিনী জানান, কয়েকদিন আগে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তিনি দুই কেজি চাল পেয়েছিলেন। মন্ত্রী আসার খবর পেয়ে আবার এসেছেন ত্রাণের আশায়।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩৩০ জন ‍কৃষককে ১৫ কেজি করে চাল এবং ৫০০ টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। তবে মাঠে ত্রাণ নিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল আরও বেশি।