বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের অনুমোদন এবং আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই তারিখ ঠিক করে দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম মো. চৌধুরী আলাল ও এস এম মুবিন।
শুনানি শেষে জহিরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি আমরা শুনানিতে তুলে ধরেছি। এটি জঘন্য একটি হত্যাকাণ্ড, এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় যেন বহাল থাকে, শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সে আরজি জানানো হয়েছে ।”
২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট খুলনা নগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে এক মোটর ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে ১২ বছর বয়সী রাকিবকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সারা দেশে।
পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই ওয়ার্কশপের মালিক ওমর শরিফ ও তার সহযোগী মিন্টু খান এবং শরিফের মা বিউটি বেগমকে সেখানে আসামি করা হয়।
মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শরীফ ও মিন্টুর ফাঁসির রায় দেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা। অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগম খালাস পান।
ওই বছর ১০ নভেম্বর রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে আসে। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাই কোর্টে আপিল করেন।
পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক তৈরি করা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি এ মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ১১ কার্যদিবসে উভয় পক্ষের যুক্তি শোনে আদালত।