অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা কমেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এক আলোচনা সভায় একথা বলেন রিয়াজুল হক।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তা ঠিক, কিন্তু এগুলো রাষ্ট্রীয় মদদে হচ্ছে না। সিরিয়া, ইরাক আর ‘ভেরি রিসেন্টলি’ মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, এগুলো হয়েছে রাষ্ট্রীয় মদদে। বাংলাদেশে তো তা নয়।”
বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন নিয়ে তিনি বলেন, “মানবাধিকার তো পুরো পৃথিবীতেই হচ্ছে। বাংলাদেশে আজকে ‘অটোমেটিকালি’ মানবাধিকার সংরক্ষণ হচ্ছে। মানুষের পেটে খাবার না থাকলে, বস্ত্র-বাসস্থান না থাকলে মানুষ অন্যায় কাজে লিপ্ত হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বসে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এই সমস্যা কমিয়ে ফেলেছে।”
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত না থাকলে আরও বেশি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটত বলে মন্তব্য করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
শনিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি একে এম দাউদুর রহমান মীনাসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।