বুধবার খেলাঘর মাঠ এলাকার ওই ঘটনায় আহত আরও অন্তত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত কিশোর আবদুল আজিজের (১৮) বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। বাবার নাম বশির হোসেন।
তেজগাঁওয়ের একটি ওয়ার্কশপের কর্মী আজিজ ১০১/বি তেজকুনিপাড়ার রেলওয়ে কলোনিতে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া আজিজের বন্ধুদের বরাত দিয়ে জানান, বুধবার সকালে আজিজের বন্ধু মাফিজুর তাদের প্রতিপক্ষের একটি ছেলেকে চাকু দিয়ে ভয় দেখান। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে সাইমুন, জুয়েল ও মনিরসহ ৪-৫ জন কিশোর তেজকুনিপাড়া এলাকায় গেলে আজিজ হাতে থাকা চাকু দিয়ে সাইমুনকে আঘাত করতে যান।
“সাইমুন সেই চাকু ফিরিয়ে নিজের হাতে থাকা চাকু দিয়ে আজিজকে মাথায় আঘাত করে,” বলেন বাচ্চু মিয়া।
সাইমুনও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সা্ইমুনও ঘটনার এমন বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, রনি ও জসিম নামে দুই বন্ধু আজিজকে ৩টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তেজগাঁও থানার এসআই কলিন্দ্রনাথ গোলদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনাটি শুনে তেজগাঁও থানার একাধিক দল ঢামেক হাসপাতালের দিকে রওনা হয়েছে।
থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। অভিযান চালিয়ে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করব।”