বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রুল জারি করলেও এর শুনানি অন্য বেঞ্চে করাতে বলেছেন বলে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন।
আদালতে এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
পরে আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমানুর রহমান খান রানার জামিনের বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি শেষ হয় গত সোমবার। আজ আদেশের অপক্ষোয় ছিল। আবেদনকারীরা এমপি রানার পক্ষে রুল চাইলে আদালত তার জামিনের বিষয়ে রুল জারি করেন।”
সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হলেও আবেদনকারী পক্ষকে এই বেঞ্চে রুলের শুনানি নিয়ে আসতে বিচারক নিষেধ করেছেন বলে আমিনুর রহমান জানান।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দেয়।
তার আগে গত ২৮ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চও রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ৯ অক্টোবর এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় টাঙ্গাইল- ৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি রানাকে প্রধান আসামি করে এবং তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে সাংসদ রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক। জেলা ও দায়রা জজ তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে এই সাংসদ হাই কোর্টে আবেদন করেন।
রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে রানা ও তার তিন ভাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের অনুমোদন চেয়েছে।