প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাবুবুল হক শাকিল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব নিয়েছে।”
ধর্ষিত শিশুটির চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খবর রাখা শাকিল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে যান।
তিনি সেখানে শিশুটির মা ও নানীর সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসার সর্বশেষ খবর নেন। তিনি শিশুটির জন্য কিছু ফলও নিয়ে যান।
গত ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, শিশুটির জীবনহানির শঙ্কা না থাকলেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত রয়েছে।
“তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। শিশুটির পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই মাসের মত সময় লাগতে পারে।”
হাসপাতালে গণশিক্ষামন্ত্রীর দুই সহকারী
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের পক্ষে তার একান্ত সচিব শেখ আলতাফ হোসেন এবং সহকারী একান্ত সচিব মির্জা আশফাক হোসেন বৃহস্পতিবার শিশুটিকে দেখতে যান।
গণশিক্ষামন্ত্রী বর্তমানে ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ফিজারের এলাকায় ওই শিশুটির বাড়ি।
শেখ আলতাফ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতোমধ্যেই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নিয়েছে। এরপরও তার চিকিৎসায় যেকোনো সহযোগিতার দায়িত্ব মন্ত্রী নিয়েছেন।”
তিনি মন্ত্রীর পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারকে কিছু অর্থ তুলে দেন।
ধর্ষণের ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলেও অন্য আসামি এখনও পলাতক।