ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোলায়মানের মৃত্যু হয়।
“৯০ বছর বয়সী সোলায়মান দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত পৌনে ২টার দিকে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
২০১০ সালের ১১ মে শরীয়তপুর সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার ‘রাজাকার’ সোলায়মান মৌলভীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের আদালতে মামলা করেন। ওই মামলা পরে পাঠানো হয় ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গতবছর ১৪ জুন কাশিপুর মুসলিম পাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোলায়মান মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোলায়মানকে ঢাকায় এনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যুদ্ধাপরাধের এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- একই উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মৌলভী ইদ্রিস আলী সরদার এবং কাশিপুর গ্রামের সামশুল হক মোল্লা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মামলার নথিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২২ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত সোলায়মান ও তার সহযোগীরা পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পালং উপজেলা আঙ্গারিয়া, কাশাভোগ, মনোহর বাজার, দক্ষিণ মধ্যপাড়া, উত্তর মধ্যপাড়া, ধানুকা, রুদ্রকরের মতো হিন্দুপ্রধান এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়।