কল্যাণপুরের হোটেল থেকে অচেতন তরুণ-তরুণী উদ্ধার

রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় দুই তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2016, 06:14 PM
Updated : 21 Oct 2016, 06:14 PM

শুক্রবার সন্ধ্যায় কল্যাণপুরের ‘চৌধুরী দ্যা প্যালেস’ নামের ওই আবাসিক হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন দারুস সালাম থানার এসআই শাহ আলম।

হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ওই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেছিলেন।

হোটেল রেজিস্ট্রার বুকে তাদের নাম জারিফ (২৫) ও জেসমিন রহমান বন্যা (২৩) লেখা রয়েছে।

এসআই আলম জানান, তারা কক্ষের ভেতর যাওয়ার পর হোটেলের কারো সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। শুক্রবার বিকালের দিকে হোটেল কর্মচারীরা তাদের গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানায়।

“সন্ধ্যায় দরজা ভেঙে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।”

উদ্ধার তরুণ-তরুণীর এখনও চিকিৎসা চলছে জানিয়ে এই পুলিশ সদস্য বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাদের বাড়ি রাজশাহী। এরই মধ্যে দুইজনের সাথে প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে; তাদের কথা অসংলগ্ন।

“তারা আদৌ স্বামী স্ত্রী কিনা এবং তারা কিভাবে অচেতন হলো সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরেকটু সুস্থ হলেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।”

গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

রাজধানীর কাঁঠালবাগান থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যিনি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহতের নাম দীপা রানী নাথে (২৫); তার স্বামী সুব্রত চৌধুরী স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে কাজ করেন।

শুক্রবার বিকালে কাঁঠালবাগানের একটি সাততলা ভবনের ষষ্ঠতলার ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে তারা ভিন্ন রুমে শুয়ে পড়ে।

“বিকালে পাশের কক্ষে খোঁজ নিয়ে স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে দ্রুত তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সুব্রত। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা না গেলেও এসআই বাচ্চু বলছেন, “পারিবারিক সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার এক পর্যায়ে দীপা আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”

এরপরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ সদস্য।