গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বৃহস্পতিবার পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সায়েদাবাদ, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, বংশাল, ভাটারাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- মো. জামাল (৩৫), মো.সাঈদ (২৪), মো. রানা (২০), এনামুল হক ওরফে এনাম (২৮), মো. আবুল হোসেন (২৬), আরিফ হোসেন (২৩), মো. মনা (২২), মো. আলমাস শেখ (২৭), মো. ইমরান আলী (১৯), মো. মিলন পাটোয়ারী (২২), পেটকাটা মিলন (২৬), মো. রানা (২১), মো.আলমগীর (২২), সজিব (২৯), মো. রুবেল (২৪) মানিক রহমান সাজু (৩০), সাকিল সিদ্দিক (২৬), সুজন (২৪) ও জয়নাল (২৮)।
যুগ্ম কমিশনার বাতেন বলেন, “এরা বিভিন্ন যানবাহনে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়।”
সাধারণ মানুষের ভাষায় এরা ‘অজ্ঞান পার্টি’ বা ‘মলম পার্টি’ হিসাবে পরিচিত। এদের খপ্পরে পড়ে চেতনানাশক ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে আবার সর্বস্ব হারিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক সমস্যায় ভুগেছেন।
এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা হকার বেশেও কাজ করে- এমন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান বাতেন।
তিনি বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হকাররা যেন গণ পরিবহনে প্রবেশ করতে না পারে তা নিয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
সাধারণ মানুষকেও এ বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে বাতেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পরিবহনে খোলা খাবার গ্রহণ করা অস্বাস্থ্যকর। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে।