মঙ্গলবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা আরা মাহমুদ।
পুরস্কার গ্রহণ করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমি এ পুরস্কার কখনই প্রত্যাশা করিনি। পাওয়ার যোগ্যতাও রয়েছে কিনা জানি না। তবে আমি আর তিনি একই পথের যাত্রী- হয়তো এটিই কারণ।
“পুরস্কার আমার জন্য আনন্দের, বেদনার। আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্তিতে। বেদনা যে দেশের জন্য আলতাফ মাহমুদ প্রাণ দিয়েছিলেন, সে নতুন সমাজ গঠনের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা আজও অধরা। এটাই আমার দুঃখ, বেদনার।”
ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ শিমুল ইউসুফ বলেন, “আমাদের কালের অনুসরণীয় এক মহাপ্রাণ আদর্শ শিক্ষক সত্যপথযাত্রী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সত্যের পথে অবিচল এক অক্লান্ত পথিককে আলতাফ মাহমুদ নামাঙ্কিত পুরস্কার অর্জন করে আমরা গৌরব অর্জন করলাম।”
এ আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। শংসাবচন পাঠ করেন বাকশিল্পী হাসান আরিফ।
মফিদুল হক বলেন, “আলতাফ মাহমুদ হারানোর বেদনার মাঝেও আমরা ইতিহাসের ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে আশার আলো খুঁজে পাই।”
শংসাবচনে হাসান আরিফ বলেন, “সংকটে সম্ভাবনার সংগ্রামে যুক্তিতে সততার শক্তিতে ন্যায়ের পথে অবিচল পথ চলেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
“আলতাফ মাহমুদ নিজের জীবন উৎসর্গ করে জীবনেরই জয়গান গেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তির সেই মশাল নির্ভয়ে তিনি বহন করে চলেছেন।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ।
আয়োজনের শুরুতেই আলতাফ মাহমুদকে নিবেদন করে কাজী নজরুলের ‘শূন্য এ বুকে’ ও তারই গান ‘ধন্য জীবন ধন্য তোমার’ গেয়ে শোনান শিল্পী শারমীন সাথী ইসলাম।