শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার আদালতের মাধ্যমে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হারুনুর রশিদ জুয়েল, মোজাহিদুল ইসলাম, সাফায়েত উল্লাহ, রাহাত হোসেন কাব্য, ইকবাল আহম্মেদ ও শাহ পরান হোসেন রাজু।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. ইউসুফ আলী জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শনিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গত বছরের ১৩ অগাস্ট ওই এলাকার আদর্শনগর পানির পাম্পের কাছে সরকার সমর্থক কয়েকজন আড্ডা দেওয়ার সময় তাদের ওপর গুলি ছোড়া হলে ঘটনাস্থল থেকে আহত চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রাতেই ঢাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামসু মোল্লা (৫৩) এবং উত্তর বাড্ডার নির্মাণাধীন বেসরকারি হাসপাতাল এইচ এ এফ-এর তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ আহমেদ মানিকের (৪৫) মৃত্যু হয়।
পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাহিত্য বিষয়ক সহ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা (৪০)। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যুবলীগ নেতা আবদুস সালামের (৪০) মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় প্রথমে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয় বলে বাড্ডা থানার ওসি জলিল জানান। পরে জুয়েলের নাম আসে।
গ্রেপ্তারের পর ছয় আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফজলুল করিম।
ঢাকা মহানগর হাকিম এমদাদুল হক প্রত্যেক আসামিকে তিন দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন।
একই ঘটনায় অস্ত্র আইনের আরেকটি মামলায় জুয়েল ও মোজাহিদুলকে আরও তিন দিন করে হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের সময় এই দুজনের কাছ থেকে দুটি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ।