জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিতবই: সুরঞ্জিত

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয় হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2016, 03:12 PM
Updated : 27 August 2016, 03:12 PM

শনিবার বিকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে দেশে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে আমরা লিপ্ত আছি, এই যুদ্ধে আমরা জিতবই, জিতবো।”

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ‘জন্মাষ্টমী উৎসব-২০১৬ উদযাপন’ উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

উৎসবের আলোচনা পর্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত বর্তমানের কঠিন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।

“বাংলাদেশে এখন কঠিন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট চলছে। এই সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আমাদের সবার উচিত তাকে সমর্থন দেওয়া। আমরা তার এই আন্দোলনে সহযোগিতা করে যাব।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, আমার বিশ্বাস এতে সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূল হবে।”

উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। হাজার বছর ধরে এখানকার প্রত্যেক ধর্মের উৎসব সবারই উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।”

এই অঞ্চলের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঞ্চলিক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মানবতা বিশ্বাসী মানুষের পক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করে তিনি।

“মানুষের চেয়ে বড় কি আর হতে পারে। ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে মানুষকে হত্যা করা সকলের নিকট অগ্রহণযোগ্য। মানবতা বিশ্বাসী মানুষের পক্ষে সম্ভব এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা  করা।”

অধ্যাপক আরেফিন বলেন, “সকল ধর্মের মূল কথা হচ্ছে, মানুষকে ভালোবাসেন। কিন্তু তথাকথিত আইএস ইসলামের নাম দিয়ে মুসলমানদেরই ক্ষতি করছে। তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষকে হত্যা করছে।”

ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ প্রতিহত করে একটি অসাম্প্রদায়িক অঞ্চল গড়ে তোলার আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ হাজী মো. সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়ের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ শাহ এমরান, ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের মহাধ্যক্ষ সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সিএসসি বিশপ থিওটনিয়াস গোমেজ, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশে পূর্জা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু ও সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পালসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।