ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক ও প্রকাশক হত্যায় জড়িত যে ছয়জনকে চিহ্নিত করে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে সিফাতও একজন। তার নামে পুরস্কারের অংক ছিল ২ লাখ টাকা।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, টঙ্গী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সিফাতকে আটক করা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গতবছর অক্টোবরের ৩১ তারিখ বিকালে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়; ওই প্রকাশনা থেকে জঙ্গি হামলায় হত্যার শিকার বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক ও লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসীদের চাপাতির কোপে নিহত হন বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়।
এরপর একে একে খুন হন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নীলয়, ফয়সল আরেফিন দীপন ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ।
চলতি বছরের মে মাসে দীপন হত্যায় সন্দেহভাজন সিফাতসহ ‘আনসারউল্লাহ বাংলা টিম’ এর সঙ্গে জড়িত শরিফ, সেলিম, রাজু, সাজ্জাদ ও সিহাবকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এর মধ্যে শরিফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরিফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদী-১ এবং সেলিম ওরফে ইকবাল ওরফে মামুন ওরফে হাদী-২ এর জন্য পাঁচ লাখ টাকা ও বাকি চারজনের প্রত্যেকের জন্য দুই লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময়ে ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক ও প্রকাশক হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের ভাষ্য।