ট্রাইব্যুনাল সরাতে মন্ত্রণালয়কে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি

পুরনো হাই কোর্ট ভবন থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2016, 07:37 AM
Updated : 23 August 2016, 11:13 AM

মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি দুপুরে নিশ্চিত করেছেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক।

ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের চিঠি পাঠানোর খবরের সত্যতা জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এটা সঠিক।”

এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের একজন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

১৮ অগাস্ট রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে পুরাতন হাই কোর্ট ভবনের দখল হস্তান্তর প্রসঙ্গে’ শিরোনামে পাঠানো ওই চিঠির একটি অনুলিপি পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে এসেছে।

এতে বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টে পযাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতিগণের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্থান সঙ্কুলান না হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/অফিসের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

“ভবিষ্যতে বিষয়টি আরো প্রকট হবে বিধায় জরুরী ভিত্তিতে বিচারপতিগণের চেম্বার ও এজলাস এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস ব্যবহারের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় স্থানের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। এ সমস্য দূরীকরণে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন (ট্রাইব্যুনাল) সুপ্রিম কোর্টের বুঝে পাওয়া একান্ত অপরিহার্য।”

বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মৌখিকভাবে আলোচনার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, “এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তর করতঃ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটি (ট্রাইব্যুনাল) হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”

২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের মাজারগেট সংলগ্ন পুরনো হাইকোর্ট ভবনেই এর কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রতিষ্ঠাকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কী কারণে সরানোর চিঠি দিয়েছে, তা আমরা এখনো জানি না। বর্তমানে যে জায়গায় আছে, সেটা তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সম্মতি নিয়েই করা হয়েছিল।

“জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ও আইন কমিশনের অফিস সেখান থেকে সরিয়ে ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এই জায়গায় এটি সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। দেশে-বিদেশে সে হিসাবেই পরিচিত।”

তবে নিতান্তই সেখান থেকে ট্রাইব্যুনাল সরাতে হলে ‘আইনজীবী, বিচারক ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষিত থাকে এবং বিচারকাজ সুন্দরভাবে শেষ করা যায়’ এমন জায়গায় নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।