আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট বলছে, জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে এই বিশেষ কমিটি। একইসঙ্গে দেশের পাড়া-মহল্লায় জঙ্গিদের তালিকাও তৈরি করবে তারা।
শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা থেকে এই প্রতিরোধ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘হত্যা-জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস, সমূলে হবে বিনাশ’ স্লোগানে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট।
এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন অগ্রগতির সূচকে দেশ যখন এগিয়ে চলছে, তখন একটি গোষ্ঠী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করছে। অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিতে তারা নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে।”
সভার প্রধান আলোচক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, “জাতির জনকের মৃত্যুর পরে দেশ একটু একটু করে তার সুয়োগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রযাত্রার শিখরে উন্নীত হয়েছে। অনেক বাঁধা বিঘ্ন পেরিয়ে দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।”
আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কবি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এই সভায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা দেশের এ অবস্থায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে দেশের আনাচে কানাচে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।