আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদক পাচার রোধে আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
Published : 14 Jul 2016, 08:16 PM
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, গত ৮ জুলাই আঞ্চলিক এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়, যা চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে গত ১ জুলাই নজিরবিহীন জঙ্গি হামলা এবং ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পুলিশের উপর হামলার প্রেক্ষাপটে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর এ তথ্য জানাল।
এই অভিযানের অংশ হিসেবে পোস্টাল ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা পার্সেলগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট ফ্রেইট ইউনিটের কুরিয়ার ও পার্সেল র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় সন্দেহজনক একটি প্লাস্টিকের কৌটায় ক্যাপসুল জাতীয় দ্রব্য সাময়িক আটক করা হয়।
এছাড়া বুধবার ঢাকা জিপিও’র এয়ারপোর্ট সটিং অফিস থেকে ৩০ কেজি ওজনের পার্সেল থেকে সাত হাজার ৪০০টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট আটকের কথাও জানানো হয়েছে।
এছাড়া সটিং অফিস থেকে ছয়টি ধারাল ছুরি, বেনাপোলের জিরো পয়েন্টে ভারতগামী দুই বাংলাদেশির কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রাসহ ১৫ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা আটকের কথাও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এনফোর্সমেন্ট কমিটি অফ দ্য কাস্টমস কোঅপারেশন কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই সপ্তাব্যাপী ‘অপারেশন আইআরইএনই’ চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের অধীন রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (রিলো এপি) সার্বিকভাবে চলমান অভিযান সমন্বয় করছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের অবদান এবং উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ধরে রাখতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অবৈধ হালকা অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক দ্রব্য পাচারে এ অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে দুষ্কৃতকারী ও পাচারকারী চক্রের কাছে এই অভিযান বাংলাদেশ কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি সতর্ক বার্তা দেবে।”