তবে পুলিশ বলছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত সাঈদ (২৭) শ্যামপুরের ঢালকানগর এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে সাঈদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান।
নিহতের বড় ভাই সোহেলের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকদিন আগে সাঈদ শ্যামপুর এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী রহমান ও মালেককে ধরতে পুলিশকে সহায়তা করেছিল।”
ওদের দলের লোকেরাই সাঈদকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের সন্দেহ।
সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদক ব্যবসার তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করায় আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
এ নিয়ে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান তিনি।
তবে সোহেলের অভিযোগ নাকচ করে শ্যামপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদক ব্যবসার কোনো ঘটনা নয়, বরং এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতেই ওই যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।”
মাদক ব্যবসার বিষয়ে সাঈদের পুলিশকে তথ্য দেওয়ার দাবিও নাকচ করেছেন তিনি।
তবে কী নিয়ে আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত বিরোধ ছিল, জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ওসি রাজ্জাক।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পাপ্পু নামের একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক রাজিব আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদক ব্যবসার আধিপত্যের জের ধরে সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের স্ত্রী কণিকা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করবেন, যার প্রক্রিয়া চলছে।”