শুক্রবার রাতে হামলার পর শনিবার কমান্ডো অভিযানে যে ছয়জন নিহত হন, তাদের মধ্যে একজনের নাম বাঁধন বলেছিল পুলিশ, যাকে চিহ্নিত জঙ্গি বলেছিলেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।
ওই বাঁধনের বাবা, মা ও ভগ্নিপতি সন্দেহে শাহজাহানপুর উপজেলার তিনজনকে রোববার বিকাল থেকে বগুড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহত বাঁধনের পরিচয় শনাক্তের জন্য তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
ওই তিনজনই শাজাহানপুর উপজেলার চোপিনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যাকে বাঁধন বলা হচ্ছে, তার নাম মো. খায়রুল ইসলাম। তার বাবা-মাসহ ভগ্নিপতিকে পুলিশ সদস্যরা নিয়ে গেছে।
বিহিগ্রাম আলিম মাদ্রাসার ছাত্র খায়রুল এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ বলে জানান তিনি।
পুলিশের সরবরাহ করা নামের মধ্যে বিকাশ নামে নিহত অন্যজনও বগুড়ার বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
তবে পুলিশ সুপার বলেন, “বিকাশ সম্পর্কে কিছু জানি না।”
শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান শেষে জানানো হয়, ২০ জিম্মিকে হত্যার পর অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছেন, একজন ধরা পড়েছেন।
এরপর রাতে পাঁচজনের ছবি সাংবাদিকদের সরবরাহ করে পুলিশ জানায়, তাদের নাম হল- আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় কিংবা কে কোন জন, তা জানানো হয়নি।
অন্যদিকে হামলার দায় স্বীকার করে আইএসের নামে আসা বার্তার সঙ্গে পাঁচজনের ছবিও আসে ইন্টারনেটে, যারা হামলাকারী বলে আইএসের বরাতে বলা হয়। তাদের নাম বলা হয়- আবু উমায়ের, আবু সালমা, আবু রাহিক, আবু মুসলিম ও আবু মুহারিব।
ভিন্ন নামের বিষয়ে আইজিপি শহীদুল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিরা সব সময় ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকে।
এদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে নিহত পাঁচজনের ছবি মিলিয়ে চারজনকে শনাক্ত করা গেছে।
তাদের মধ্যে তিনজন সমাজের উঁচু স্তরের বাসিন্দা, পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি মাধ্যমে। এদের একজন রোহান বিন ইমতিয়াজ গত ছয় মাস ধরে নিখোঁজ বলে তার পরিবারই পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
তবে হামলাকারী হিসেবে পুলিশের ছবিতে থাকা একজন হলি আর্টিজান বেকারির পাচক বলে তার পরিবারের দাবি।
এদিকে পুলিশ নিহত ছয়জনের মধ্যে অন্যজনের নাম কিংবা ছবি না প্রকাশের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।