নাটক, সিনেমার পৃষ্ঠপোষকতায় দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আরএফএল পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ ‘ড্রিংকইট’ এর সহযোগিতায় বৈশাখী টেলিভিশন আয়োজিত ‘ঈদ নাটক’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
‘ড্রিংকইট তোমার গল্পে সবার ঈদ’ প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে আসা ১১ হাজার ৪২৩টি গল্প থেকে পাঁচটিকে নাটকের জন্য নির্বাচিত করেন বিচারকরা। এবারের ঈদে এসব গল্পের অবলম্বনে নির্মিত নাটকগুলো প্রচার করবে বৈশাখী টেলিভিশন।
এ ধরনের আয়োজনে সহযোগিতার জন্য আরএফএল গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আজকাল ভালো নাটক নির্মাণ হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে টিভি নাটকে চোখ রাখি। ভালো গল্প নেই, কাঠামো নেই, আইডিয়া দুর্বল। এসব নাটক দিয়ে আমাদের বিনোদন জগত চলছে।”
“নির্মাতার স্বল্প সময়ে অনেক বেশি নাটক নির্মাণ করে ফেলছেন। তারা আর মান ধরে রাখতে পারছেন না। টেলিভিশন স্টেশন মালিকরাও নাটকের পারিশ্রমিক দেয় সামান্য। ভালো নাটক পেতে হলে পয়সাটাও বাড়িয়ে দিতে হবে।”
সংস্কৃতির বিকাশে বিত্তবান শিল্পকারখানাকে পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী।
“সংস্কৃতির বিকাশে বিত্তবান শিল্পকারখানাকে পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসাবে তারা এই কাজ করবে। আরএফএল যেভাবে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, অন্যরাও এভাবে এগিয়ে এলে কিছু ভালো কাজ বের হবে।”
এই সেরা পাঁচটি গল্প থেকে তৈরি করা হয়েছে ঈদের পাঁচটি হাসির নাটক। যা ঈদের দিন থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বৈশাখী টেলিভিশনে।
বুধবার ঢাকায় ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এতে অন্যদের মধ্যে আরএফএলের পরিচালক আর এন পাল, আরএফএলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আরাফাতুর রহমান, বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু আলম ও অনুষ্ঠান-প্রধান আহসান কবির উপস্থিত ছিলেন।