অগ্রাধিকার খাতে নিরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ অর্থ উপদেষ্টার

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে সরকারের সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া খাতগুলোতে নিরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 02:03 PM
Updated : 28 June 2016, 04:41 PM

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মসিউর রহমান বলেন, “জ্বালানি, পরিবহন ও অবকাঠামো খাতে অডিট আরও বেশি বাড়াতে হবে। কারণ এসব খাতে সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এসব খাতে অডিটের ফোকাস বাড়াতে হবে।”

‘অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি বিষয়ক কৌশলপত্র বিতরণ ও প্রচার’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “ট্যাক্সের উপরও অডিট দরকার। কিন্তু এনবিআর এ বিষয়ে বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এজন্য এ বিষয়ে একটা পদ্ধতি বের করা উচিত।”

অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে সময় কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে মসিউর বলেন, “অনেকগুলো অডিট আপত্তি ঝুলে রয়েছে, দিনের পর দিন তা বাড়ছে। অডিট প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করা উচিত। তা না হলে এই অবজেকশনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।”

নিরীক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থ ব্যয়ে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।

অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে এই উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করছে। তাদের উচিত এখন থেকে স্বল্প মেয়াদের প্রকল্পে অর্থায়ন করা। এতে দেশের জনগণ প্রকল্প থেকে দ্রুত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ বলেন, “অডিটের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রশাসনকে সহায়তা করা। কাজেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যদি মাঠ পর্যায়ে অডিট চলাকালীন উদঘাটিত আপত্তির প্রতি নজর দেন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন তবে অডিট আপত্তি আটকে থাকবে না।”

এজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি।

মাসুদ বলেন, “অডিট আপত্তির জবাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দিতে পারলে ভবিষ্যতে অডিট আপত্তি একেবারেই কমে আসবে।”

অনুষ্ঠানে কৌশলপত্রটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (অ্যাকাউন্টস ও রিপোর্ট) ড. শ্যামল কান্তি চৌধুরী এবং সিনিয়র অর্থ নিয়ন্ত্রক (প্রতিরক্ষা ক্রয়) মো. আফতাবুজ্জামান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এসপিইএমপি-বি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট সুরাইয়া জান্নাত প্রমুখ।